ADD HERE

জলবায়ু বদলের সঙ্গে যুদ্ধের অস্ত্রও এআই


গত কয়েক দশকে বদলে গিয়েছে সারা পৃথিবীর জলবায়ু। এর ফলে আগামীতে প্রকৃতির সঙ্গে লড়াইটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এবারে এই লড়াইতেই মানুষের হাতে বড় হাতিয়ার হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। সায়েন্স সিটিতে পরিবেশরক্ষা নিয়ে আয়োজিত হয়েছিল একটি বিশেষ সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা পরিবেশরক্ষার লড়াইতে এআই-এর উপযোগিতার বিষয়টি নজরে আনেন।

রোবটের হাতে দুনিয়ার দখলদারি। মানুষ ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে কোনওক্রমে অস্তিত্বটুকু বাঁচিয়ে রেখেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে ভিলেন দেখিয়ে তার সঙ্গে মানুষের সংঘর্ষকে প্লট করে হলিউডে তৈরি হয়েছিল টার্মিনেটর সিরিজ়ের ছবি। তবে, বাস্তবে এআই-কে হয়তো পরিত্রাতার ভূমিকায় দেখা যেতে পারে।

গত কয়েক দশকে যে ভাবে সারা পৃথিবীর জলবায়ু বদলে গিয়েছে, তাতে আগামী দিনে প্রকৃতির সঙ্গে লড়াইটাই মানুষের অস্তিত্বরক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আর সেই লড়াইতেই মানুষের হাতে বড় হাতিয়ার হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। শুক্রবার সায়েন্স সিটিতে পরিবেশরক্ষা নিয়ে কর্মরত দু’টি সংস্থা ফিউচার ফর নেচার ফাউন্ডেশন এবং নিউ বেঙ্গল কনসাল্টিংয়ের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল একটি বিশেষ সেমিনার।

যদি তা-ই হবে, তা হলে সংগৃহীত তথ্য যদি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো কোনও প্রবণতা দেখায় তাহলে তার সম্ভাব্য প্রতিষেধকই পেতেও তো এআই ব্যবহার করা যেতেই পারে! সায়েন্স সিটির সেমিনারে এআই-এর এই দিকটি সবার সামনে আনেন বিশেষজ্ঞরা। গত কয়েক দশক ধরে সারা পৃথিবীর জলবায়ু-বিশেষজ্ঞ এবং পরিবেশ-বিজ্ঞানীরা যা তথ্য সংগ্রহ করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে সমুদ্রতল প্রতি বছরই কিছুটা করে বাড়ছে।

এর ফলে সামনের কয়েক বছরের মধ্যেই আমাদের দেশের কলকাতা, মুম্বই এবং চেন্নাইয়ের মতো শহর অস্তিত্বসঙ্কটে পড়বে। একই সঙ্গে ফেব্রুয়ারি থেকেই উত্তর ভারতের তাপমাত্রা যে ভাবে বাড়তে শুরু করছে এবং তার স্থায়িত্ব জুন পর্যন্ত বহাল থাকছে তাতে দেশের বেশির ভাগ অংশই যেন মরুপ্রায় আবহাওয়ার লক্ষণ দেখাতে শুরু করেছে। তা হলে কি আগামী দিনে ভারতের অবস্থা গরমে সুদান এবং বর্ষায় ইন্দোনেশিয়ার মতো হয়ে যাবে! এই অবস্থা থেকে রক্ষার উপায় কী?

এই প্রসঙ্গে পরিবেশবিজ্ঞানী এবং ইউনেস্কোর বিভিন্ন পরিবেশ সংক্রান্ত প্রজেক্টের পরামর্শদাতা স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী বলছেন, ‘অনেক বছর আগে বিজ্ঞানীরা সংগ্রহ করা ডেটা বিশ্লেষণ করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতেন। পরে কৃত্রিম উপগ্রহ এল। এ বার এআই ব্যবহারের সময় এসেছে। কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় কোন ব্যবস্থা নিলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সবচেয়ে কম পড়বে — সেটা জানতে এআই ব্যবহার করা প্রয়োজন।’

নিউ বেঙ্গল কনসাল্টিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা দেবাশিস সেন বলেন, ‘অল্প সময়ে বিপুল ডেটা অ্যানালিসিসের ক্ষমতা রয়েছে এআই-এর। এই ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে যদি সৌরশক্তি ও বাতাসের শক্তিকে যথাযথ ভাবে ব্যবহার করা যায়, তা হলে গ্রিন হাউস গ্যাস নিষ্ক্রমণ অনেকটাই ঠেকানো সম্ভব।’

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Add Placement