সিগারেটের বিকল্প ইলেকট্রনিক সিগারেট বা ই-সিগারেট। তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেটের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ফাইবার বা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি এই ব্যাটারিচালিত যন্ত্রের ভেতর একটি প্রকোষ্ঠ থাকে। সেটির মধ্যে ভরা থাকে বিশেষ ধরনের তরল মিশ্রণ।
ই-সিগারেটে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সিগারেটের চেয়ে বেশি।
ভুল ধারণা
অনেকেই মনে করেন, ই-সিগারেট ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে সাহায্য করে। কিন্তু ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মতে, ই-সিগারেট ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটির প্রভাব সাধারণ সিগারেটের চেয়েও ক্ষতিকর।
ই-সিগারেটের তরল মিশ্রণের (ই-লিকুইড) মধ্যে থাকে প্রপেলিন গ্লাইসল, গ্লিসারিন, পলিইথিলিন গ্লাইসল, নানাবিধ ফ্লেভার ও নিকোটিন। ই-সিগারেটের তরল মিশ্রণ গরম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব রাসায়নিক থেকে সাধারণ সিগারেটের ধোঁয়ার সমপরিমাণ ফরমালডিহাইড উৎপন্ন হয়। এ ছাড়া ই-সিগারেটের ধোঁয়ায় থাকে অতি সূক্ষ্ম রাসায়নিক কণা, যা ভীষণ ক্ষতিকারক। এর থেকে মুখ, গলা জ্বালা, বমিভাব ও কাশি দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া নিকোটিন থেকে দ্রুত আসক্তি তৈরি হয় ই-সিগারেটের প্রধান উপকরণ। সিগারেট ছাড়ার বাসনায় যাঁরা ই-সিগারেট ব্যবহার করেন, তাঁদের বরং উল্টো এটির ওপর আসক্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটা থেকে ফুসফুসে নানা ধরনের অসুখ দেখা দিতে পারে।
আছে ক্যান্সারের ঝুঁকি
ই-সিগারেটে যেভাবে রাসায়নিক নিকোটিন ব্যবহার করা হয়, এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে মৃত্যুও হতে পারে। এর ধোঁয়ায় এমন কিছু উপাদান আছে, যা থেকে ক্যান্সার হওয়ার যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে।
ধূমপান নিষিদ্ধ অনেক জায়গায় ই-সিগারেট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে। আর তাতেই এর চাহিদা বাড়ছে। ই-সিগারেট সেবন করে আসলে ধূমপান ছাড়া যায় না। বরং ধূমপানের পেছনে বেশি খরচ করে মানুষ আরো বড় বিপদ ডেকে আনছে।
পরামর্শ দিয়েছেন
রসুল আহমেদ রাসেলপুষ্টিবিদ,
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
.jpg)