পাকিস্তানের মাটিতে অনেক প্রথমের স্বাক্ষী হচ্ছে বাংলাদেশ। সব সংস্করণ মিলিয়ে প্রতিপক্ষের মাটিতে প্রথম জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম টেস্টে প্রতিপক্ষকে ১০ উইকেটে হারিয়ে। সব মিলিয়ে টেস্টে তাদের বিপক্ষে প্রথম জয়ও।
এবার সিরিজ জয়েরও সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ।
এর জন্য অবশ্য দ্বিতীয় টেস্টে ১৮৫ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। তাহলেই প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের মাটিতে তাদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ। দুই টেস্টের সিরিজ জিতে রেকর্ড গড়তে পারবে কিনা সেটা জানতে অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে ১৭২ রানে অলআউট করে একটা রেকর্ড ইতিমধ্যে গড়েছেন বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ।
বাংলাদেশের
প্রথম পেসার হিসেবে পাকিস্তানের মাঠে ৫ উইকেট নেওয়ার
রেকর্ড। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩ রানে ৫
উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষের মাঠে সেরা বোলিংয়ের কীর্তি গড়েছেন তিনি। নিজের ক্যারিয়ারেরও সেরা বোলিং ২৪ বছর বয়সি
পেসারের।
আগের সেরা বোলিং ছিল এ বছরের শুরুতে চট্টগ্রাম টেস্টে ৬৫ রানে ৪ উইকেট, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
পাকিস্তানের মাঠে হাসানের আগে পেস বোলার হিসেবে সেরা বোলিং ছিল খালেদ মাহমুদ সুজনের। ২০০৩ সালে মুলতান টেস্টে ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক। পেস-স্পিন মিলিয়ে তৃতীয় বোলার হিসেবে পাকিস্তানের মাঠে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন হাসান।
এর
আগে প্রথম টেস্টে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন
মেহেদী হাসান মিরাজ।
আর প্রথম কীর্তির মালিক হচ্ছেন মোহাম্মদ রফিক। বাঁহাতি স্পিনার এই কীর্তি দুইবার গড়েছেন। ২০০৩ সালে পেশোয়ারে ১১৮ রানে ৫ উইকেট নেওয়ার পর ওই সফরেই মুলতান টেস্টে ৫ উইকেট নেন ৩৬ রানে। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে যা পাকিস্তানের মাঠে সেরা বোলিং।
দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের ১০ উইকেটই বাংলাদেশের পেসাররা নিয়েছেন। যা বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম। হাসানের ৫ উইকেটের বিপরীতে ৪ উইকেট নাহিদ রানার। আর বাকি উইকেটটি তাসকিন আহমেদের। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তৃতীয়বারের মতো ১০ উইকেট নিয়েছেন পেসাররা। এর আগের দুটিই ওয়ানডেতে। একটি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অন্যটি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
.jpg)