২১ ঘণ্টা পর গাজী গ্রুপের টায়ার তৈরির কারখানায় দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
২১ ঘণ্টা পর গাজী টায়ার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
২১ ঘণ্টা পর গাজী গ্রুপের টায়ার তৈরির কারখানায় দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এর আগে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকায় স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর মালিকানাধীন গাজী টায়ার কারখানার ছয়তলা ভবনে আগুন লাগে। এরপর থেকে শত শত মানুষ এসে সেখানে জড়ো হন।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম সময় সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। এরপর ভেতরে কেউ আছে কি না তা দেখা হবে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তারাই তদন্ত করে প্রতিবেদন দিলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে।’
রেজাউল করিম আরও জানান, রোববার রাতে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। তবে যানজটের কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে একটু সময় লাগে। তারপর তারা অগ্নিনির্বাপনে কাজ শুরু করেন। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আর ছড়াবে না। যেহেতু টায়ার তৈরির কাঁচামাল ও রাসায়নিক অত্যন্ত দাহ্য, সেই কারণে আগুন নেভাতে অনেকটা বেগ পেতে হয়েছে।
তবে নিখোঁজদের তালিকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম বলেন, ‘ভিকটিম লিস্ট তৈরির দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের। আগুন নির্বাপন করাই আমাদের প্রথম দায়িত্ব। ভিকটিম লিস্টের দিকে আমাদের নজর নেই। আমরা সকাল পর্যন্ত ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছি।’
স্থানীয়রা জানান, রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে কারখানার মালিক নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীকে নারায়ণগঞ্জের আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর পরপর রূপগঞ্জের রূপসী এলাকায় আনন্দ মিছিল বের করে বিএনপি ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় শত শত মানুষ গাজী টায়ার কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে মেশিনপত্র ও আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী লুটপাট করে নিয়ে যেতে শুরু করে।
এক পর্যায়ে লুটপাট চলতে থাকলে ৫ শতাধিক মানুষ ছয়তলা ভবনটির বিভিন্ন ফ্লোরে উঠে পড়েন। সেখান থেকেও লুটপাট শুরু হয়। রাত ৯টার দিকে ভবনের নিচতলায় দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুইতলা ও তিনতলার জানালা দিয়ে অনেকেই নিচে লাফিয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে আগুন একে একে পুরো ছয়তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে গেলে ভেতরে আটকাপড়া অনেকেই আর বের হতে পারেননি বলে এলাকাবাসী দাবি করছেন।
